১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ঢাকা সিটি করপোরেশনের জমি দখলকারীদের কঠোর বার্তা দিলেন মেয়র আতিক
২৩, আগস্ট, ২০২০, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ - প্রতিনিধি:

সিটি করপোরেশনের জমি যারা দখল করেছে তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, গাবতলী এলাকায় ৫২ একর জায়গা প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। সেই জমি আবার বেদখল হয়ে গেছে। যারাই দখল করেছে ওনাদের দিন শেষ, শিগগিরই ৫২ একর ভূমি পুনরুদ্ধার করে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হবে বলে জানান মেয়র।

শনিবার (২২ আগস্ট) আমিনবাজারে অবস্থিত ডিএনসিসির যান্ত্রিক ওয়ার্কশপ এবং ল্যান্ডফিল পরিদর্শন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ডিএনসিসির এই পাইকারি কাঁচাবাজার এবং কাওরান বাজারের কাঁচাবাজার যাত্রাবাড়িতে স্থানান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু কাজটি আমরা এখনো করতে পারিনি। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আমরা কথা বলেছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা আবারো আলোচনায় বসবো। তারা একেক সময় একেক ধরনের দাবি করছে। কিন্তু দাবিগুলো আমরা লিখিত আকারে পাচ্ছি না। কাওরান বাজারের মতো এরকম একটা বিশৃঙ্খল মার্কেট ঢাকা শহরে হতে দেওয়া যায় না। কাওরান বাজারকে সুন্দর ডিজাইন অনুযায়ী সাজানো দরকার।

মেয়র বলেন, আমাদের প্রায় ৪৫০টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আছে। এর মধ্যে আছে এস্কেভেটর, পানির গাড়ি, ময়লার ডাম্প ট্রাক ইত্যাদি। এগুলো কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। ময়লা ফেলে আসার পরে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কিনা। আমরা এসফল্ট প্ল্যান্ট করেছি। আমি ঠিকাদারদের বলে দিয়েছি ভবিষ্যতে এই এসফল্ট প্ল্যান্ট থেকে তাদেরকে ম্যাটেরিয়াল কিনতে হবে। নগরে যে কাজ হবে তার কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য এই এসফল্ট প্ল্যান্ট করেছি।

মেয়র আরও বলেন, কোরবানির ঈদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি অনুশাসন দিয়েছেন। গরুর হাটের পাশে একটি মডার্ন স্লটারিং হাউজ করার জন্য। এই অনুশাসনটিকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেওয়া হচ্ছে। গাবতলী গরুর হাটের পাশে আমরা একটি অত্যাধুনিক স্লটারিং হাউজ করবো।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ৫২ একর জমি প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক উদ্ধার করেছিলেন। এটি কোথাও কোথাও আবার দখল হয়ে গিয়েছে। এসব জায়গা পুনরুদ্ধার করে, বাউন্ডারি ওয়াল করে এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

আমিন বাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, এই ল্যান্ডফিলকে একটি সুন্দর সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা দরকার। এটির মেয়াদ ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল। এরপর আমরা এটাকে ওপরের দিকে ৬০ ফুট নিয়েছি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পরে এখানে আর ময়লা ফেলার জায়গা থাকবে না। ঢাকা শহরের প্রতিদিন যে আবর্জনা তৈরি হয় আমাদের এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে ২০২২ সাল থেকে কোথায় ময়লা ফেলা হবে। এখানে জমি অধিগ্রহণ করে একটি ইকো পার্ক তৈরি করা হবে। এখন ময়লা আমরা লিনিয়ার ইকোনমিতে ফেলি, আবর্জনা এনে এখানে ফেলে দেই। তখন হবে সার্কুলার ইকনোমি। সে ক্ষেত্রে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস উৎপাদন হবে। আমরা এখানে ৮০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জৈব সার ইত্যাদি উৎপাদনে যাবো। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে আমরা এক নতুন স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।